প্রিয় যাত্রী গণ আপনদের স্বাগতম। আপনে নিশ্চয় রংপুর টু গাইবান্ধা ট্রেনের সময়সূচী সহ অন্যান্য তথ্য অনুসন্ধান করছেন? চিন্তার কোন কারণ নেই। নিরাপদ ভ্রমনের জন্য সকল ধরনের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আপনাদের উপকার করার চেষ্টা করছি। ট্রেন মানে আনন্দ ও নিরাপদ ভ্রমনের প্রতিশ্রতি।
আপনে যদি রংপুর টু গাইবান্ধা ট্রেনের সময়সূচী অনুসন্ধানের জন্য এখানে এস থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টাট আপনার জন্য। বরাবরের মত আজকেও আলোচনা করছি রংপুর টু গাইবান্ধা ট্রেনের সময়সূচী নিয়ে। আশা করি সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনার নিরাপদ ভ্রমনে আমরা আপনার পাশে আছি।
রংপুর টু গাইবান্ধা ট্রেনের সময়সূচী মেনে যে আন্ত:নগর ট্রেন চলাচল করছে তা হল দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ৭৬৮ এবং রংপুর এক্সপ্রেস ੧੧২ নং ট্রেন। ১৯৮৬ সালে ১৬ মার্চ দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হয়। পরে ੨০২২ সালে ১১ জুন পঞ্চগড় পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। অপর দিকে ২০১১ সালে ২১ শে আগস্ট রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করে। রংপুর টু ঢাকা রুটে নিয়মিত চলাচল করছে।
রংপুর টু গাইবান্ধা ট্রেনের সময়সূচী
আপনে কি রংপুর টু গাইবান্ধা ট্রেনের সময়সূচী অনুসারে ট্রেন ভ্রমন করেছেন কি? যদি করে না থাকেন তাহলে আজই ট্রেন ভ্রমন করতে পারেন। ট্রেনের কোড, ট্রেনের বন্ধের দিন ও রংপুর পৌঁছার সময় সহ আরও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হল। শুধু মনোয়োগ সহকারে পড়তে থাকেন।
রংপুর টু গাইবান্ধা রুটে মাত্র দুটি আন্ত:নগর ট্রেন নিয়মিত চলচল করছে। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিলাস বহুল ট্রেন গুলোর মধ্যে একটি। এই ট্রেন ভালো মানের খাবারের হোটেল রয়েছে।
রংপুর টু গাইবান্ধা ট্রেনের টিকিটের মূল্য বা ভাড়ার তালিকা
রংপুর টু গাইবান্ধা ট্রেনের সয়সূচী মুখস্ত করলে হবে না ট্রেনের টিকিটের মূল্যও জানতে হবে। ট্রেনের টিকিটের মূল্য নির্ধারিত হয় সিটের ধরনের উপর। সিটের মান যত উন্নত হবে টিকিটের মূল্যও তত বৃদ্ধি পাবে।
এতক্ষনে রংপুর টু গাইবান্ধা রুটে ট্রেনের টিকিটের মূল্য তালিকা সমন্ধে ধারনা পেয়ে গেছেন। উপরে দেওয়া সিট প্লান দেখে সিদ্ধান্ত নেন কোন সিটের টিকিট ক্রয় করিবেন। সব কিছু জেনে বুঝে টিকিট ক্রয় করিবেন। আপনারা অগ্রীম টিকিট ক্রয় করিতে পারেন। এতে সিট পাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।
মন্তব্য
বাংলাদেশের প্রধান ও নিরাপদ যানবাহনের মধ্যে ট্রেন হলো এক নম্বর। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ট্রেন ভ্রমনে করছে। আগে বাংলাদেশের রেলওয়ের ব্যবস্থা ছিল অনেক দূর্বল এবং বৃটিশ আমলের ট্রেন দিয়ে এই খাত পরিচালিত হত। বর্তমানে রেলওয়ে অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে।
বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমন করার চেষ্টা করিবনে না। বর্তমানে খুব নিষ্ঠার সাতে ট্রেনর স্টাফরা দায়িত্ব পালন করছে। তাদের হাতে ধরা পরিলে জেল জরিমানা হতে পারে। িতােই বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমন করার কথা চিন্তা করিবেন না।
ট্রেন বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদকে রক্ষা করা আমাদের সকলে দায়িত্ব। ট্রেন আসার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে স্টেশনে পৌঁছানো উচিত। আপনার যাত্রা শুভ ও নিরাপদ হউক।
কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন: বাংলাদেশে কত ধরনের রেল লাইন চালু আছে?
উত্তর: বাংলাদেশে তিন ধরনের রেল ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন মিটার গেজ, ব্রডগেজ এবং ডুয়েল গেজ।
প্রশ্ন: বাংলাদেশে সবচাইতে দীর্ঘ লেলপথ কোনটি?
উত্তর: বাংলাদেশে সবচাইতে দীর্ঘ লেলপথ হল বুড়িমারী টু ঢাকা রুট। বুড়িমারী টু টাকা রেলপথের দূরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটার।এই রুটে ট্রেন চালু হওয়া পর ভারত, নেপাল ও ভূটানের সাথে যোগাযোগ সহজ হয়েছে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের রেলওয়ের মালিক কে?
উত্তর: বাংলাদেশের রেলওয়ের মালিক হল সরকার। সরকার নিজেই লেওয়ে পরিচালনা করে।
প্রশ্ন: ট্রেনের একটি বড়ির মাপ কত?
উত্তর: একটি আদর্শ বগির মাপ হল প্রস্থ ২.৭ থেকে ৩.১ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম রেলসেতু কোনটি?
উত্তর: বাংলাদেশের প্রথম রেলসেতু হল ভেরব লেল সেতু। এটি ১৯৩৫ সালে কাজ শূরু হয় এবং ১৯৩৭ সালে কাজ শেষ হয়। এই সেতুটি উদ্ধোদন করেন বাংলার প্রধান মন্ত্রী আবুল কাশেম ফজলুল হক।